ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় নাতির গলায় টাকার মালা দিলেন নানা

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় নাতি ইমরুল কায়েসকে গলায় টাকার মালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তার পান দোকানি নানা জাফর আলম। ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমরুল কায়েসের দাদা ও নানার বাড়িতে চলছে আনন্দ-উৎসব। দুটি পরিবার মেতে উঠেছে উত্সবে। শুধু তাই নয়, তাকে ফুলেল শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে।

ইমরুল কায়েস সাতকানিয়া উপজেলার গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। টেকনাফ বাসস্টেশনের পান দোকানি জাফর আলমের ছয় মেয়ে ও তিন ছেলের পরিবারে নাতি ইমরুল কায়েস তার প্রজন্মের সবার বড়। ইমরুলের দাদা ও নানার পরিবার এলাকায় নির্ভেজাল ‘আওয়ামী লীগ পরিবার’ হিসেবে পরিচিত।

জানা যায়, নাতি ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় জাফর তাঁর নতুন পল্লানপাড়া এলাকার নারীদের রাস্তায় বের করে লাইন করে দাঁড় করান। তারপর নাতি ইমরুলের গলায় পাঁচ হাজার টাকার নোটের মালা পরিয়ে দিয়ে সেই রাস্তায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

ইমরুলের নানা জাফর আলম বলেন, ‘ওই সময় নারীরা নেচে-গেয়ে তাঁর নাতিকে শুভেচ্ছা জানায়। এমনকি শত শত পটকাও ফুটানো হয়। প্রতিদিনি ভালো খাবার-দাবারও চলছে। উৎসব আরো কিছুদিন চলবে।’

জাফর আলম আরও জানান, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু টেকনাফ সীমান্তে এখন হাইব্রিড আওয়ামী লীগের ছড়াছড়ি। দলীয় নেতৃত্বের পদবিও প্রায় এসব হাইব্রিডের দখলে।’ তিনি আফসোস করে বলেন, এসব হাইব্রিডের ভিড়ে দলে তাঁদের স্থান নেই। অথচ এ হাইব্রিডরা দলের দুর্দিনে আবারও ফিরে যাবে তাদের পুরনো স্থানে।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বাশার জানান, দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করা পরিবার দুটির এ প্রজন্মের একজন সদস্য দলের ছাত্র সংগঠনের একটি পদ পেয়েই এ রকম আনন্দে মেতে উঠেছে।