Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ১৩ বছর নিচে নামতে পারলে ৩৫ বছর উপরেও উঠতে পারত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৬ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আচার্য হিসেবে সমাবর্তনে বক্তব্য দিতে গিয়ে রসিকতা করবেন না- এমনটি যেন মানায় না তাঁর সঙ্গে। তেমনি এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫১তম সমাবর্তনে যোগ দিয়ে ভারতীয় নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে রসিকতা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যের বাইরে স্বভাব-সুলভ মজার কথাবার্তায় সমাবর্তন প্রাঙ্গণ মাতিয়ে রাখেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া...প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে তো সবাই চেনেন। আমি যদিও বুড়া বয়সে চিনি, এই ছেলেদের তো না চেনার কোনো কারণ নেই। এই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকা আসছিলেন। বাংলাদেশে অন্য দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী আসলে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা করে সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে বঙ্গভবনে আসেন। সবাই আসেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে বললাম এবার তো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসবে। আসার একদিন আগে এই কথা বললাম- পরে শুনেছি সে (রাষ্ট্রপতির স্ত্রী) নাকি টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বঙ্গভবনে আসার কী দরকার!’

হর্ষধ্বনি উঠতে থাকে সমাবর্তন মাঠে। এর মধ্যেই রাষ্ট্রপতি বলে চলেন, ‘ইট ওয়াজ জাস্ট কন্সপাইরেসি, ষড়যন্ত্র। শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বঙ্গভবনে আসা ক্যানসিল, তিনি আসেননি।’

‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যাওয়ার কয়েক মাস পরে শুনলাম সে আমেরিকা গেছে, তার চেয়ে ১০ বছরের, ১০ বছরের না আরও বেশি ১২/১৪ বছরের নিক নামের ছেলেরে বিয়া করছে, আমেরিকা গিয়ে। আমি তো তার চেয়ে ৩০/৩৫ বছরের বড়। সে যদি ১২/১৩ বছর নিচে নামতে পারে তাহলে সে ৩০/৩৫ বছর উপরেও তো উঠতে পারত’ বলেই রাষ্ট্রপতিও হাসতে থাকেন। আর হাসির রোল পড়ে যায় উপস্থিত গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে।

‘এই ধরনের একটি সুযোগ নষ্ট, এটা সে ঠিক করেনি। আসার পর যদি ঘটনা ঘটত অন্তত এই উপ-মহাদেশের একটা মেয়েকে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে সুদূর আমেরিকা যেতে নাও তো হতে পারত। সবই কপাল-ভাগ্য, কিছু করার নেই।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আসলে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মনটা চাঙ্গা হয়ে যায়।’ এরপর লিখিত বক্তব্যের শেষ প্যারাটা পড়তে শুরু করেন রাষ্ট্রপতি।

এদিকে কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে ‘হেলিকপ্টার’ ও ‘হাতের ব্যায়াম’ নিয়ে তার বক্তব্যে মজেন গ্র্যাজুয়েটরা। এরও আগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মজা করে বলেন, ‘বুড়া বাতিল না হলে পথ পরিষ্কার হচ্ছে না’।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্র্রেশন করেন। কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৬টি স্বর্ণ পদক, ৮১ জনকে পিএইচডি ও ২৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। আরও বক্তব্য দেন উপাচার্য মো. অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ।

Bootstrap Image Preview