রাজধানীতে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন শতকরা ২০ ভাগ পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবার) ঢাকার মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ক্যান্সার স্ক্যানিং কর্মসূচির উদ্বোধন কালে এ তথ্য প্রকাশ করে ডিএনসিসি।
এছাড়া হৃদরোগে শতকরা ১৮.৪৬ ভাগ, অ্যাজমায় ২৩ ভাগ, ব্রেনস্ট্রোকে ১০.৭৫ ভাগ লোক মারা যাচ্ছেন। আর স্বাভাবিক মৃত্যুর হার শতকরা ২৭.৭৬ ভাগ।
এব্যাপারে ডিএনসিসির আরেক প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজি বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিশ্রম করে শহরকে চলাচলের উপযোগী রাখেন। এ কঠিন কাজ করতে গিয়ে তারা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডিএনসিসির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাজধানী ঢাকাকে পরিপাটি রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আর এ কাজ করতে গিয়ে তারা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক তাদের এ কষ্টের কথা অনুধাবন করতে পেলে তাদের চিকিৎসাসেবার সুযোগ তৈরি করেন। সেই ধারাবাহিকতায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বিনামূল্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চিকিৎসা দেবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাজধানী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজধানীর ডিএনসিসির সাড়ে তিন হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ক্যান্সার স্ক্যানিং এ কার্যক্রমের আয়োজন করে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ক্যান্সার স্ক্যানিং করে ৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা দেবে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ক্যান্সার স্ক্যানিং কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ফজলুর রহমান, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক, অধ্যাপক ডা. সেহেরীন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক ডা. ফিরোজ কাদের, অধ্যাপক ডা. একেএম আমিনুল হক, অধ্যাপক ডা. মাসুদা হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী মারা গেছেন ৬৫ জন।