জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন স্তরের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির ‘নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্বিন্যাস ও দক্ষতা উন্নয়ন কমিটি’ এ সুপারিশ করেছে। এছাড়া ৫১৭টি সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দুই হাজার নতুন সৃষ্ট পদে লোকবল নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে কমিশনের।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে জনপ্রশাসন, পুলিশে পদোন্নতি হচ্ছে। ইসিতেও পদোন্নতির ঢেউ লেগেছে। তাঁরা ৭৫ জন কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন। নির্বাচন কমিশন এই সুপারিশ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হবে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, যুগ্ম সচিব পদে কাউকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি। ৯ জন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে চতুর্থ গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৯ জনকে উপসচিব পদে (পঞ্চম গ্রেড) এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৩৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই হাজার পদে নতুন জনবল নিয়োগ হলে ইসি আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
কমিশনার জানান, কমিশনে বেশকিছু নতুন পদ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। কমিশনের বর্তমান জনবল ৩ হাজার থেকে আরো ২ হাজার বেড়ে যাচ্ছে। এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে ইসির সক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে। এর পরেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেন মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তাদের পাওয়া যাবে। তাদের পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে কি না তা ঠিক জানি না। সেটা সময় আসলে দেখা যাবে। তাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং দিতে হবে, তাদের কার্যপরিধিও ঠিক করতে হবে।’
এর আগে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া অনেক কর্মকর্তাকে পরবর্তীতে বাদ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন নিয়োগ বিতর্ক সৃষ্টি করবে কি না- জানতে চাইলে মাহবুব তালুকদার বলেন, যাদের বাদ দেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষা নিয়ে বাদ দেয়া হয়েছে। এইটা অনেক আগের ব্যাপার। পুরনো ইতিহাসের কথা বলতে পারব না।