সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে (প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি) কোটা বাতিল করে বৃহস্পতিবার পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এরপরও কিছু চাকরিতে এখনও কোটায় নিয়োগের সুযোগ থাকছে।
জানা যায়, কোটা বাতিল হলেও প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের মতো কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সুবিধা থাকছে। যেমন পিএসসি ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, কর্পোরেশনে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিজেরা নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাদের বিধিমালা অনুসারে কোটার বিধান থাকলে, সেটি তারা অনুসরণ করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, ৯ম (পূর্বতন ১ম শ্রেণি), ১০ম ও ১৩তম (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) গ্রেডের ক্ষেত্রে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। নবম (পূর্বতন ১ম শ্রেণি), ১০ম ও ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির পদে কোটার আগের মতোই চালু থাকছে।
এ ব্যাপারে সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলছেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ কারো কারো এখনো কোটার বিষয়ে বক্তব্য আছে। কোটার অন্যান্য বিকল্পও আছে। যদি সরকার মনে করে যে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বা প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটার প্রয়োজন আছে, তখন সরকার যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
কোটা বহাল রাখা ছাড়াও তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সুরক্ষা আইন, রাজাকারের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেওয়া ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।