জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সপ্তাহজুড়ে টানা ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর জনজীবন। বৈদ্যুতিক পাখায়ও মিলছে না স্বস্তি। গ্রামাঞ্চলের মানুষ হাতপাখা নাড়িয়ে ব্যর্থ চেস্টা করছে স্বস্তি নেয়ার। রোদের প্রচণ্ড তাপে কর্মমুখী মানুষ হয়ে পড়ছেন ক্লান্ত। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন দিনমজুরসহ কৃষক শ্রেণীর মানুষ। বেড়ে গেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
কলাপাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণে (২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ০২ অক্টোবর) মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নতুন নতুন রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
একই চিত্র জেলার অন্যান্য উপজেলায়। নার্সিং সুপারভাইজার ফৌজিয়া খানুন জানান, সোমবার সকাল থেকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে ৮৯ জন। ডায়রিয়ার আইভি স্যালাইন সরবরাহ নাই। তবে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী আমতলী ও তালতালী উপজেলার কিছু সংখ্যক লোকজন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ওয়ার্ডের সকল সিটে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও স্বস্তি মিলছে না। ভ্যাপসা গরমে দিশেহার হয়ে পরেছে। রোগির স্বজনরা অনবরত হাত পাখা নাড়িয়ে বাতাস করছেন।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬ মাসের শিশু ইসাহককে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার মা ফাতেমা বেগম পাশে বসে হাতপাখা নাড়ছে। তিনি বলেন, তার শিশু পুত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছেন। সব ওষুধ বহির থেকে কেনা হয়েছে।
একই ওয়ার্ডে ভর্তি ডাব্লুগঞ্জ ইউনিয়নের এক বছরের কন্যা শিশু রাইছা। তার পিতা রুবেল মিয়া জানান, হাসপাতাল থেকে কোন ওষুধ দেয়া হয়নি। বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
কলাপাড়া হাপাতালের চিকিৎসক মাহাবুবু রহমান জানান, হাসপাতালে আসা রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা ও পারামর্শ দিচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্মময় হাওলাাদার জনান, এখন পর্যন্ত মারাত্মক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী আসেনি। পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট দফতরে কলেরা স্যালাইনের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।