Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারায়ণগঞ্জ-জয়দেবপুর বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালুর উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:১২ PM
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:১২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি : বিডিমর্নিং


নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস ইলেক্ট্রিক ট্রাকশন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়সৌর বিদ্যুৎকে কাজে লাগিয়ে ডিসি কারেন্টের মাধ্যমে চলবে এই রেল এতে রেল খাতে তেলের জন্য করা ব্যয় কমে আসবে এবং পরিবেশ দূষণ হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে শুরু হওয়া চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় বিষয়ে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইলেক্ট্রিক ট্রাকশন প্রকল্পটি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় এ পাশ হয়েছে।এটি বাস্তবায়ন হলে রেলের ঘণ্টায় গতি ১৮০- ২০০ কিমি হবে এর কম সময়ে যাতায়াত করা সম্ভব হবে

বাংলাদেশে এখনও কোনো বাণিজ্যিক রেল লাইনে বিদ্যুতায়ন করা হয়নি। তবে বাংলাদেশে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন হচ্ছে মেট্রোরেল যদিও ভারত এক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের সমস্ত ডিজেলচালিত লোকোমোটিভ বন্ধ করে তার বদলে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেছে ভারত। ডিজেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি খরচের বিপুল ব্যয় সাশ্রয়ের জন্যই এ কাজটি করছে ভারত।

ডিজেল বাংলাদেশকে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে আমদানি করতে হয়। অন্যদিকে অধিকাংশ বিদ্যুৎই দেশে উৎপাদিত হয়। আর এ কারণে ডিজেলের চেয়ে বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন দেশের অর্থনীতির জন্য সুবিধাজনক। এতে বিদেশ থেকে যে ডিজেল আমদানি করতে হয় কমবে সেই পরিমাণ৷ যার সরাসরি সুফল পড়বে দেশের অর্থনীতির ওপরে৷

অন্যদিকে রেলের ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন শক্তিশালী হওয়ায় এর গতি বেশি থাকে। এছাড়া বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ডিজেল ইঞ্জিনের তুলনায় সহজ। রেলের তেল চুরির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। কিন্তু বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে রেল চালানো হলে তেল চুরির প্রশ্ন থাকবে না। ডিজেল ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ছাড়াও এর বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ কিনতে যে ব্যয় হয় তা বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে কম হবে। ফলে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে অপচয়ও কম হবে।

এবারের উন্নয়ন মেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ মন্ত্রাণালয়, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তাদের স্বস্ব উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র ফুটিয়ে ধরেছেন। মেলায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মেলা পরিদর্শন করছে।

এবছরের উন্নয়ন মেলায় মোট ৩৩০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০টি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯টি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৬টি, কৃষি মন্ত্রণালয় ১৬টি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০টি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ৯টি স্টলে কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করবে।

Bootstrap Image Preview