চট্রগ্রাম ছাড়া সারাদেশে ভ্যাপসা গরমে, ঘামে অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। প্রায় ছয় দিনের বৃষ্টিহীনতা ভ্যাপসা গরমকে উসকে দিচ্ছে। স্থানভেদে তাপমাত্রা ৪/৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি। এ কারণে দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ফলে গত কয়েকদিনের মতো আজও সারাদিন থাকবে ভ্যাপসা গরম।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে। বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। অক্টোবরের প্রথমার্ধে মৌসুমি বিদায় নিতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। যা বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, বর্ষাকাল বিদায় নেয়নি, বর্ষায় বৃষ্টির পানি দেশের খাল, বিল, ডোবা, নদী, নালায় জমে আছে। সূর্য তেজি কিরণ দেওয়ায় এই পানি থেকে জলীয় বাষ্প বের হচ্ছে। এই জলীয় বাষ্প বাতাসের সঙ্গে থাকায় শরীর থেকে ঘাম ঝরছে। ঘাম ঝরায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। আবার সূর্যতাপে তাপমাত্রাও ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু দিনের ব্যাপ্তি কমতে থাকায় রাতের বেলা আবার তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বরের পর দেশে বৃষ্টি নেই বললেই চলে। আকাশও মেঘমুক্ত। সূর্য কিরণ দিচ্ছে।
আবদুল মান্নান বলেন, এ ভ্যাপসা গরম আর কয়েক দিন পর বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। তবে আপাতত দু–এক দিন এমন অবস্থাই থাকবে। তবে গরম এর চেয়ে আর বাড়বে না।
তিনি আরও বলেন, মৌসুমির উৎপত্তি বঙ্গোপসাগরে। এটা বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। বায়ুর বিস্তার পাকিস্তান ও এর আশপাশের অঞ্চলে। সেখান থেকে এটি আমাদের দেশে আসে। পরে আবার বঙ্গোপসাগরে গিয়েই শেষ হয়। মৌসুমি বায়ুর বিদায় নেওয়ার পালা শুরু। এখন এটি ভারতের উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত চলে এসেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।