সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ওরা চাইছিলো কোটা বাতিল হোক, বাতিল করে দিলাম।’
বুধবার (৩ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ কথা বলেন। বৈঠকে কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যমান পদ্ধতি তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা থাকবে না।
প্রথম শ্রেণির চাকরি শুরু হয় নবম গ্রেড দিয়ে। এর ওপরের পদগুলো সাধারণত পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ হয়। আর দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি ১০ম গ্রেড থেকে ১৩ তম গ্রেডের মধ্যে। ব্যতিক্রম ছাড়া শুরুর পদেই নিয়োগ হয় এবং সেখানেই কোটা নির্ধারণ হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর এ বিষয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন হয়। তারা পর্যালোচনা শেষে কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে।
প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, ওরা চাইছিলো কোটা বাতিল হোক, বাতিল করে দিলাম। এ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই। তবে যদি কখনো রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কোটার দাবি সামনে আসে, তখন সেটা রাষ্ট্র বিবেচনা করবে।