Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নন্দীগ্রামে খরায় পুড়ছে আমন ক্ষেত

জোবায়ের রানা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৪ PM
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৪ PM

bdmorning Image Preview


এখন আশ্বিন মাস, চলছে শরৎকাল। মাঠে আমন ধানের শীষ বের হওয়ার সময়। কিন্তু খরার কারণে আমন ধানের ক্ষেত এখন ফেটে চৌচির। যার কারণে ক্ষেতে দেখা দিচ্ছে নানা রোগ বালাই ও পোকামাকড়। সঠিক সময়ে জমিতে পানি না থাকায় ধানের শীষ বের হতে পরাছেনা বলে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। তাই সেচ যন্ত্র দিয়ে পনি সেচ করে আমন ধানের ক্ষেত রক্ষার চেষ্টা করছে উপজেলার কৃষকরা। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খরার কারণে ফেটে যাওয়া আমন ধানের ক্ষেতে সেচ যন্ত্র দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছে কৃষকরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে গতবার বোরো আবাদ ঠিকমত ঘরে তুলতে পারেনি এ এলাকার কৃষকরা। তাই সিংহ ভাগ কৃষক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমন ধান চাষাবাদ করেছে। যার কারণে তাদের সকল স্বপ্ন এখন আমন ধানের ক্ষেতে। অল্পদিনে মধ্য বৃষ্টি না হলে ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের দলগাছা গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম জানান, অনেক দিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধানের জমি ফেটে গেছে। এখন জমিতে পানি না দিলে ধানের শীষ বের হতে সমস্য হবে। তাই বাধ্য হয়ে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছি। কৃষক বাবলু মিয়া জানান, খরার কারণে জমিতে নানা রোগবালাই ও পোকামাড়ক দেখা দিয়েছে। এবং পানি না থাকায় জমির ধান গাছ লালচে হয়ে দেবে যাচ্ছে। তাই বৃষ্টির দেখা না পেয়ে আমরা সেচ পাম্প দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছি। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন। তবে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না এলে উৎপাদন বেশি হবে বলে জানান তারা। এ উপজেলায় মোট ৪১৭টি গভীর ও ৩ হাজার ৩৩০টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। খরার কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান ক্ষেতে ১৫০টি গভীর ও ১২শ টি অগভীর নলকূপ দিয়ে সেচ দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোহা. মুশিদুল হক বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেচ যন্ত্র দিয়ে আমন ধান ক্ষেতে সেচ দেয়া হচ্ছে। সেচ যন্ত্র চালু থাকলে ধানের কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবং যেসব এলাকায় সেচ যন্ত্র চালু করা হয়নি তাদের সেচ যন্ত্র চালু করার জন্য বলা হয়েছে।’

Bootstrap Image Preview