Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বীরগঞ্জে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে নেমেছে বিজিবি

শেখ জাকির হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০৫ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০৫ PM

bdmorning Image Preview


দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা আজ মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে। আজ সোমবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ থেকে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন এ কথা জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি আরো জানান, ইতি মধ্যেই আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং সব ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন একাধিকবার করা হয়েছে। উপ-নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বিরাজ করছে।

আগামী ৩অক্টোবর বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১১টি ভোট কেন্দ্রের ৬০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে আজ রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। মিছিল-শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ থাকবে।

এদিকে একাধিক প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামী লীগ। একক প্রার্থী দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে বিএনপি প্রার্থী মোঃ তহিদুল ইসলামের। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগেরসহ বাকি ৫ জন প্রার্থীর নেতাকর্মীরা মাঠে ঠিকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের বিএনপির গ্রেফতার আতংকে নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেনি। এমনকি বাড়িতেও থাকতে পারছে না। তিনি আরো বলেন,বিএনপির নেতাকর্মী নামে দুইটি মামলা দায়ের করার পর থেকে পাল্টাপুর ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মী গা ঢাকা দিয়েছে। আমি নিজেও প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারিনি।

আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আওয়ামী লীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী কারণের তাঁর ভোটে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা? এ সময় তিনি বলেন, জনগণই তাঁদের কে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমি জয়ের ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী (রয়েল) বলেন আমি মাঠে কাজ করছি, ইনশাআল্লাহ জয় আসবে।

আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সুরেন্দ্র নাথ রায় কোকিল বলেন, রাজনীতি মামলা কারণে অনেকেই মুখ খুলছে না, তবে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের জয় হবে এবং মানুষের আশা আকাংখা পূরণ হবে।

উল্লেখ্য, পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর শপথ নিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে আগেই মৃত্যু বরণ করেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ তাবার হোসেন। পরে উপ-নির্বাচনে মোঃ তাবার হোসেনের ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসী মোঃ তছলিমুল আলম বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮হাজার ৬শত ৪৪ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৩হাজার ৫শত ৬৫ভোট। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সুরেন্দ্র নাথ রায় কোকিল পেয়েছিলেন ৩হাজার ১শত ১৮ভোট। মোঃ তছলিমুল আলম পদত্যাগ করলে ১৯জুন চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

Bootstrap Image Preview