ঢাকার ধামরাইয়ে ঘরের ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে এক কৃষককে হত্যা করেছে তারই সন্তান। সৎ মাকে জমি লিখে দিতে পারেন এ আশঙ্কায় ঐ কৃষোক কে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশের কাছে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে ওই কৃষক বাবার প্রবাসী ছেলে মো. লিটন মিয়া।
জবান বন্দিতে সে জানিয়েছে, মা মারা যাওয়ার পর বাবা তাকে না জানিয়ে একই গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের বিধবা স্ত্রী মাজেদা বেগমকে এক কন্যাসন্তানসহ বিয়ে করেন। বিয়ের সময় লিখে দেন ১৫ শতাংশ জমি। তার বাবা দ্বিতীয় স্ত্রীকে আরও জমি লিখে দিতে পারেন এ আশঙ্কায় বাবাকে গলা কেটে হত্যা করে সে।’
ধামরাই থানা পুলিশ রবিবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামে।
এ লোমহর্ষক খুনের ঘটনায় ধামরাই থানা পুলিশ খুন হওয়া ওই কৃষকের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে লিটনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদের পর ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপকচন্দ্র সাহার কাছে লিটন তার বাবাকে নিজ হাতে গলা কাটে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, তার মা মারা যাওয়ার পর বাবা তাকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় লিখে দেন ১৫ শতাংশ জমি। আরও জমি তার বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে লিখে দিতে পারেন এ আশঙ্কায় তিনি বাবাকে হত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় ওই কৃষকের ছেলে লিটনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।