সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের বালুরচর বাজার থেকে বেতকা যাওয়ার প্রধান সড়ক প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তায় ভারী বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার জনসাধারণ ও স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
সিরাজদিখান থেকে বেতকা যাওয়ার এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় অসংখ্য যান বাহন চলাচল করছে। বিশেষ করে ইজি বাইক বা রিক্সার যাত্রীদের প্রতিদিনই ঝুৃকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়ে।
রাস্তাটি বছরের অধীক সময় ধরে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই এমনিটই বলছেন যাত্রীরা। রাস্তাটি সংস্কার না করা হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই তেমনি দূর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
বছরখানেক পূর্বে রাস্তাটি সাময়ীক সংস্কার করা হলেও ভারী বৃষ্টি, মালবাহী ট্রাক, মাহিন্দ্রা চলাচলে ফের রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার বালুরচর বাসীর চাওয়া এই রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেওয়া হয়।
উপজেলার খাসমহল বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আশরাফ জানান, খাসমহল বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ সংলগ্ন রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ডোবায় পরিনত হয়। আর সেকারনেই স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের ভোগান্তি হচ্ছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসার সময় সিএনজি, রিক্সা, মোটর সাইলেক চলাকালীন রাস্তার ময়লা পানি, কাঁদা ছিটকে তাদের স্কুল পোষাক নস্ট হয়ে যার। উর্দ্ধতন কর্মকতা যদি রাস্তাটি অচিরেই সংস্কার করে দিতে তাহলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ হাজারো মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত।
উপজেলার বালুরচর ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ভুট্টু জানান, স্কুল সংলগ্ন রাস্তা এবং খাসনগর নামক রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে। রাস্তাটি এল.জি.ইডির অধীনে। আমাদে পরিষদে রাস্তাটির জন্য কোন বরাদ্দ নেই। তারপরও পরিষদের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছিল। আমরা এল.জি.ইডির কাছে আবেদন করেছি। তারা বলেছে খুব অচিরেই রাস্তাটি সংস্কার করে দিবেন।