সারা শরীরে ইট ও পাথরের আঘাতের ক্ষত নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই কলেজছাত্র। আর তাদের এই পরিণতি করেছে ওই দুই ছাত্রের বন্ধু এসকে নাসিম নিশান। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
আহতরা হলো- সরকারি আজিজুল হক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র শহরের পশ্চিম বৃন্দাবন পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে কাওসার আহম্মেদ জয় ও একই এলাকার সাবেদ আলীর ছেলে আর সাব্বির।
শনিবার সকালে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ৩ নং ওয়ার্ডের বারান্দায় দেখা মেলে এই দুই ছাত্রের। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শজিমেক হাসপাতালের চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম খান জানান, ইট ও পাথরের আঘাতে দুই ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে পরে অস্ত্রোপচার করা হবে।
আহত কলেজছাত্র জয় জানায়, কয়েকদিন আগে তাদের সহপাঠী বন্ধু এসকে নাসিম নিশানের সঙ্গে তাদের দুইজনের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নিশানের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত বৃহস্পতিবার কলেজের সামনে থেকে তাদেরকে জোড় করে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর শিববাটি নামাপাড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদের মারপিট করতে থাকে। সেখানে তারা তাদের বেঁধে রেখে পাইপ, ইট ও পাথর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান থেতলে গুরুতর জখম করে। এ সময় তারা দুই লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করে। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে নিশানসহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা গুরুতর হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ শিববাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো- শিববাটির মিজানুর রহমানের জমজ দুই ছেলে আল আমিন ও রুহুল আমিন এবং একই এলাকার আবতাফ উদ্দিনের ছেলে এসকে নাসিম নিশান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আহত কলেজছাত্র কাওসার আহম্মেদ জয়ের বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।