Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৪ PM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালাআটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলার কারণ দর্শানোর নোটিশ চাওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করার এ অভিযোগ উঠেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বালাআটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সময় সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী মৃত নজিব উদ্দীন ৪১ শতক জমি দান করেন। পিতার মৃত্যুর পর ছেলে সৈয়দ আলী ওয়ারিশ সূত্রে ধারাবাহিকভাবে দাতা সদস্য হিসেবে এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে অন্তরভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু চলতি বছর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পূর্বে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ কবির, প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম ও সাবেক সভাপতি ফয়জার রহমান যোগসাজস করে সৈয়দ আলীকে উদ্দেশ্য মূলকভাবে দাতা সদস্য না করে নির্বাচনের কাজ চালাতে থাকেন।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সৈয়দ আলী বাদী হয়ে ওই চার ব্যক্তিকে বিবাদী করে গত ১৯ সেপ্টম্বর গাইবান্ধা সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। তার পরও নির্বাচনের কার্যক্রম চালালে বাদি গত ২০ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ওই নির্বাচনের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। ওইদিন আদালত বাদির আবেদন শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে 'বাদির প্রার্থনা মোতাবেক বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হবে না' এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।

নোটিশ পাওয়ার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম আদালতে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল না করে নির্বাচনের কার্যক্রম চালান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুস সালাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ কবিরের সাথে যোগসাজস করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সদস্যদের ডেকে নিয়ে এসে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে ভোট গ্রহণ করে ফলাফল ঘোষণা করে।

বাদী সৈয়দ আলী বলেন, আদালতে মামলা বিচারাধীন অবস্থায় বালাআটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন সম্পন্ন করায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ কবির আদালত অবমাননা করেছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, নিম্ন আদালতের শোকজ বা আদেশ গ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়। হাইকোর্টে কোন রিট থাকলে তখন বিষয়টি বিবেচনা করা যেত। সরকারি কৌশুলী (জিপি) মোঃ হাফিজুর রহমানের পরামর্শ ও উধর্তন কর্মকর্তার অনুমতি ক্রমেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

Bootstrap Image Preview