Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:০০ AM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:০০ AM

bdmorning Image Preview


ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী একেএম শামীমসহ ৬ ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের সঙ্গে ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে- এমন অভিযোগে তাদের তলব করা হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিশে তাদের আজ বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ তদন্তকাজে সহায়তা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

সাবেক এমডি ছাড়া অন্য যে পাঁচজনকে তলব করা হয়েছে, তারা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার উম্মে সালমা সুলতানা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ম্যানেজার (অপারেশন) ও ভাইস প্রেসিডেন্ট লুতফুল হক এবং সাবেক হেড অব বিজনেস ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন।

এ বিষয়ে সোমবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, আমরা অনুসন্ধান করছি কিনা এ বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। দুদক দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে ওই টাকা অবৈধভাবে অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়া যাবে না। দালিলিক প্রমাণ দিয়ে টাকা কোথায় ও কীভাবে গেল সে বিষয়টি খুঁজে বের করতে হবে। দালিলিক প্রমাণ ছাড়া দুদক কারও বিরুদ্ধে মামলা করবে না।

আইনজীবীরা বলেন, এসকে সিনহার উত্তরার ৬ তলা বাড়িটি ৫ কাঠা জমির ওপর ছিল। বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শান্ত্রি রায় ৬ কোটি টাকায় ক্রয় করেন। এ সময় বায়না দলিলকালে তিনি ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য নিরঞ্জন ও শাহজাহানের সহযোগিতা নেন। নিরঞ্জনচন্দ্র সাহা শান্ত্রি রায়ের স্বামী রণজিতের চাচা। আর শাহজাহান রণজিতের বন্ধু।

তারা বলেন, বাড়ি কিনতে বাকি ৪ কোটি টাকা ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নিরঞ্জন ও শাহজাহান ২ কোটি টাকা করে মোট ৪ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণ পরিশোধে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে শান্ত্রি রায় জামিনদার হন। জামিনদার হিসেবে টাঙ্গাইল ও ঢাকার আশপাশের বেশকিছু জমি বন্ধক রাখেন শান্ত্রি।

তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের মে মাসে জমির বায়না দলিল হয় এবং ওই বছরের ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহা সোনালী ব্যাংক সুপ্রিমকোর্ট শাখা হতে ৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে। পে-অর্ডারের পর ২৪ নভেম্বর হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে বাড়িটি শান্ত্রি রায়কে বুঝিয়ে দেন।

এসকে সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগে এর আগে গত ৬ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুই ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওইদিন তাদের সঙ্গে আসা তাদের দুই আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল এবং নাজমুল আলম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এসকে সিনহাকে তার বাড়ি বিক্রির ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview