সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে নৌযান শ্রমিকরা জানান বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার মধ্যে তাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে তারা ওই রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সকল প্রকার নৌযান বন্ধ রেখে পূর্ব ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন শুরু করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বাঘাবাড়ি কার্যালয়ের সামনের সড়কে আধাঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
তাদের এ ১১ দফা দাবি গুলো হল, নৌপথেসন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার, নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ, নৌযান মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের ফ্রি খাবার ব্যবস্তা করণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান, মাস্টার/ড্রাইভারদের ইনচার্জ, এনড্রোসমেন্ট ও টেকনিক্যাল ভাতা পূণঃনির্ধারণ, সমুদ্র ভাতা ও রাত্রীকালিন ভাতা নির্ধারণ।
পরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি সংগঠনের বাঘাবাড়ি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নৌবন্দর,বিপিসির বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো গেট,পিডিবির ৭১ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড় প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর এখানে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাঘাবাড়ি নৌবন্দর শাখার সভাপতি মোঃ দাউদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক বিশাল নৌযান শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মাস্টার, বাঘাবাড়ি সংগঠনের উপদেষ্টা হারুন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাস্টার,সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক উবাদত মাস্টার, ওমর ফারুক মাস্টার, বাবুল ড্রাইভার, সেলিম মাস্টার ও আবু বক্কার মাস্টার।