Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধুনট সেটেলমেন্ট অফিসে ১৯পদের ১৪টিই শূন্য, দাফতরিক কাজ স্থবির

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪০ AM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪০ AM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সেটেলমেন্ট অফিসে জনবল সংকটের কারণে দাফতরিক কার্যক্রম স্থবির হওয়ায় জমির মালিকেরা বিপাকে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ১৯টি পদের মধ্যে প্রধান কর্মকর্তাসহ ১৪টি পদ শূণ্য রয়েছে। 

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষক। দিন দিন জমির দাম বাড়ছে। পাশাপাশি ভূমিদস্যুতা, অবৈধ দখলদারি, রাজনৈতিক প্রভাবসহ নানা কারণে সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। কিন্তু সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে উপ সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, দুইজন জরিপকারী (সার্ভেয়ার) ও দুইজন শিকলবাহক (চেইনম্যান) কর্মরত আছেন।  

কিন্ত একজন সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা (প্রধান কর্মকর্তা), একজন উপ সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, একজন পেশকার, একজন ড্রাফটসম্যান, একজন রেকর্ড কিপার, দুইজন জাজ মহরার, দুইজন কপিস্ট কাম বিসি, দুইজন খারিজ সহকারী, একজন প্রসেস সার্ভেয়ার, দুইজন অফিস সহায়কের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। 

জনবল সংকটে ভূমি জরিপের কাজ এখনো শেষ করা সম্ভব হয়নি। ধুনট সদর ও গোপালনগর ইউনিয়নের জরিপ কাজ বন্ধ রয়েছে। চূড়ান্ত প্রিন্টের আগে জরিপ যথাযথ যাচাই-বাছাই করা জাজ মহরার পদের সবকটিই শূন্য। ফলে উপজেলার খাদুলী ও গোসাইবাড়ি মৌজায় জাজ কাজ বন্ধ রয়েছে।

জনবল স্বল্পতা থাকায় বিভিন্ন মৌজার ভূমি জরিপ, রেকর্ড, প্রিন্ট হস্তান্তরসহ সার্বিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পুরানো ভূমি জরিপের রেকর্ড প্রিন্ট পরচা ও ম্যাপ দিয়ে মূলত ভূমি সেক্টর পরিচালিত হয়ে আসছে। পুরনো ওই জরিপের পর ধানি, ডাঙ্গা, মাঠ, বিল, নদী-নালা, খাল, বিল, হাওড়, বাঁওড়, ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সরকারী সম্পত্তি, শত্রু সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ভার্সনের সম্পত্তিতে সময়ে সময়ে পরিবর্তন আসে। কিন্ত এখানে জরপি কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ভূমির ধরনের কোন পরিবর্তন আসছে না। 

রেকর্ড কিপার ও পেশকার না থাকায় ভূমি জরিপের চুড়ান্ত কাগজপত্র পাচ্ছে না জমির মালিকেরা। জনবল সংকটের কারণে বিলবাইশা, পাঁচথুপি মৌজায় সরকার বাদী প্রায় ২০০টি আপিল কেস শুনানি করা হচ্ছে না। অন্যান্য মৌজার আপত্তি ও আপিল কেসের নকল কপি ও সত্যায়িত খতিয়ান পাওয়া যাচ্ছে না।

ধুনট পৌর এলাকার পূর্ব ভরনশাহী গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকটের কারনে এলাকার ভূমি মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, খাজনা খারিজসহ ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতায় পড়েছে এলাকাবাসি। এ সমস্যার সমাধান চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। 

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, সেটেলমেন্ট অফিসে জনবল সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট দফতরে বার বার পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্ত এ সমস্যার কোন সমাধান মিলছে না।

Bootstrap Image Preview