আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী অবায়দুর কাদের বলেছেন, 'কুমিল্লা বিভাগের কাজ হচ্ছে। আপনাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। তিনিই এটা দেখছেন।'
আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লা টাউন হল ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ আগামীবার ক্ষমতায় আসলে কুমিল্লা উত্তরকে প্রশাসনিক জেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জে পথসভায় তিনি বলেন, বিএনপি গত ১০ বছর ধরে আন্দোলন করতে পারেনি, এখন তারা এক মাসে কী আন্দোলন করবে? আন্দোলনের নামে তারা যদি আবারও নাশকতা করে বাসে আগুন দেয়, তবে তাদের প্রতিহত করতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবার আমলনামা নেত্রীর কাছে জমা আছে। জরিপ হচ্ছে। জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতেই মনোনয়ন দেয়া হবে। এখন আমাদের মার্কা একটাই সেটা হল-নৌকা।
সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সড়কপথে কক্সবাজারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সফর শুরু হয়।
সফরের সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের উন্নয়নের বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দিতেই বিমান ও ট্রেন যাত্রার পর সড়কপথে নির্বাচনী যাত্রায় চট্রগ্রাম কক্সবাজার যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা।
তার ভাষায়, এখন আমরা সড়ক পথে চট্রগ্রাম কক্সবাজার যাচ্ছি। যাত্রাপথে কুমিল্লায় পর চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীতে পথসভা করে রাতে চট্রগ্রামে পৌঁছাব। রবিবার সকাল নয়টায় চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে কর্ণফুলী, লোহাগড়া, চকরিয়া, কক্সবাজার ঈদগাহ মাঠে পথসভা করবেন বলেও জানান সরকারের এ মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
৩০ ও ৩১ আগস্ট সিলেট সফরের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী সফর শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর রেলপথে সাংগঠনিক সফর করে আওয়ামী লীগ।
নীলসাগর ট্রেনে করে নীলফামারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোতে পথসভা করেন ওবায়দুল কাদের।