সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে একটি স্কুলে কর্তৃপক্ষের ভুলে টয়লেটে আটকা পড়েছিল ৫ম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিম (১১)। এলাকাবাসীর চেষ্টায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় সে।
গত শনিবার উপজেলার সারুটিয়া নিঝুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ৪ দিন অতিবাহিত হলেও শিশুটি এখনো চরমভাবে শারীরিক জটিলতায় ভুগছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই দিন ইব্রাহিম প্রকৃতির ডাকে স্কুলের টয়লেটে গেলে তার বের হওয়ার আগেই টয়লেটের গেট তালা দিয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে সবাই চলে যায়। এ অবস্থায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দুপুর প্রায় দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সে টয়লেটের মধ্যে আটকা ছিল। বিকালে স্কুলের মাঠে গ্রামের ছেলেরা খেলতে এসে টয়লেটের ভিতরে গোঙ্গানির আওয়াজ শুনতে পায়। পরে তালা ভেঙ্গে অচেতন অবস্থায় ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে।
ইব্রাহিমের মা আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলের হাত পায়ে শক্তি নেই। কথা বলতে পারে না। কিছু খাচ্ছেও না। ধরে নিয়ে টয়লেটে করাতে হয়। লোকে বলছে জিনের আছর। এজন্য হাসপাতালে নেইনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক রহমতুল বারী রাসেল জানান, আতংকে শিশুটি খুবই কাহিল হয়ে পড়েছিল। কোন সাড়া দিতে পারছিল না। মুমূর্ষু অবস্থায় স্যালাইনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু তাকে এখনো সেখানে নেওয়া হয়নি।
এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। উপজেলার মানসম্মত শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম শিহাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন মল্লিক বলেন, তিনি ওই সময় প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি শিশুটির তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকতারুজ্জামান জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ছাত্রকে ভালোভাবে চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।