Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক ডিম ১৩ টাকায় কিনে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৪২ PM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৪২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সাধারণ মানুষের প্রোটিন মেটানোর অন্যতম উৎস ডিম। অথচ বাজারে এখন ডিমের দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। দোকান থেকে এক হালি ডিম কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। তখন এক ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এতে ভোক্তারা ডিম খাওয়া কমিয়ে দিলে ফের দাম নেমে আসে ১২০ টাকায়। তবে গত কয়েকদিন ধরে ফের ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বাড়তি ফিডের দাম ও ডিমের সরবরাহ কম বলে দাবি করছেন। আর ডিমের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা। 

রাজধানীর খুচরা বাজারে দেখা যায়, এখন এক ডজন মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।

এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর কেউ এক পিস ডিম কিনলে তাকে গুনতে হচ্ছে ১৩ টাকা। অথচ কিছুদিন আগেও এক ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ডিমের এই দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মগবাজারের মুদি দোকানি রমজান শেখ বলেন, আমাদের গাড়িতে করে ডিম দিয়ে যায়। তারা আমাদের যে দাম বলে আমাদের সেই দামে কিনতে হয়। এখন তারা আমাদের থেকে বেশি দামে ডিম বিক্রি করছে। আমরাও সীমিত লাভ করে বিক্রি করছি।

কবির উদ্দিন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ডিমের দাম কেন বাড়লো তা আমাদের জানা নেই। সবকিছুর দামই বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয়। ডিমের দাম বাড়ার পর আমাদের বিক্রিও আগের থেকে কম হচ্ছে। আমরাও চাই দাম কমানো হোক। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে মুরগির খাবারের দাম বেড়ে গেছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। তাছাড়া ডিমের সরবরাহও আগের চেয়ে কম। এ জন্য দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস ভোক্তাদের। বাজারে এখন সবকিছুর দামও চড়া। ডিমের চড়া দামের কারণে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ভোক্তারা।

ডিমের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দামই তো বেশি। ডিমের দাম কম থাকবে কেন। তাই এটাও বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই। কেবল হা-হুতাশ করবে। আকবর আলী নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বলেন, ডিমের হালি ৫০ টাকা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দেশে হঠাৎ এমন কি হলো যে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেল। দ্রুত দাম কমানো উচিত। আবির হোসেন বলেন, বেশি দামের কারণে মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিয়েছি। এখন দেখি ডিম খাওয়াও বাদ দিতে হবে। এ ভাবে না খেয়ে খেয়ে আর কতোদিন জীবন চালাতে পারবো জানি না।

Bootstrap Image Preview