Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওর সঙ্গে অনেক সুখে আছি: কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করে বলেছিলেন শিক্ষিকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০:৩১ AM
আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০:৩১ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া সেই সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ভোররাতে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নাহারের কলেজছাত্র স্বামী মামুনকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। 

গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলো। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বিয়ে নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষিকা খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। সেই সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালবাসা হয়। তারপর দুজনের সিদ্ধান্তে বিয়ে করি। সমাজে কে কী বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তার বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি। সারাজীবন তার সঙ্গে এভাবে থাকতে চাই। দোয়া করবেন সবাই।

মামুন হোসেন বলেন, এক বছর আগে দুজনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের মধ্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠলে আমরা দুজনে বিয়ের সিন্ধান্ত নিই। ৬ মাস আগে কাউকে না জানিয়ে আমরা বিয়ে করি। আমার বাবা-মা মেনে নিয়েছে। নিজেদের মত সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছেন। আমরা দুজন অনেক সুখে সংসার করছি। 

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিন্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেননি।

 এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে জানা গেছে।


 

Bootstrap Image Preview