গাজীপুরের টঙ্গীতে ন্যাশনাল ফ্যান কারখানায় হিট মেশিন বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত ২০ জনের মধ্যে ৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে বিসিক শিল্প এলাকায় ন্যাশনাল ফ্যান কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ বলেন, আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছে। সর্বমোট আহতের সংখ্যা ২৫।
তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদ রানা বলেন, ন্যাশনাল ফ্যান কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৭ জনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অর্ধশত মানুষের জটলা। তাদের দাবি, ভিতরে মৃত ব্যক্তিদের লাশ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কারো নাম বলতে পারছেন না তারা।
এসময় কথা হয় এই কোম্পানির সাবেক এক কর্মীর সাথে। তিনি বলেন, ৫ বছর আগে এক বার এখানে আগুন লেগেছিল। তখন আমি এই কারখানার কর্মী ছিলাম। তখন মালিকপক্ষ ঘটনার সত্যতা লুকানোর জন্য রাত ৮টা পর্যন্ত কারখানার ভিতরে আটকে রেখেছিল। আর সেবার কেউ মারা যায়নি।
তবে আজ কেন এসেছে এমন প্রশ্ন? জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমার সাথের অনেকেই এখনো এখানে চাকরি করে তাদের খবর নিতে এসেছি তাই।
ন্যাশনাল ফ্যান কারখানার গেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ (ইনস্পেক্টর)। তারা ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল এখানে তদন্ত কমিটির লোকজন আসবে। আর তারা আসার আগে যেন কোনো আলামত নষ্ট না হয় এর জন্য ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
লাশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুরে তো গণমাধ্যমের সকলেই ভিতরে প্রবেশ করেছে। তাঁরা দেখেছে ভেতরে কোনো লাশ নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ন্যাশনাল ফ্যান কারখানার অফিস ইনচার্জ ইনামুল বলেন, আমাদের এখানে কোনো লাশ নেই। আর কাল সকালে সিনিয়াররা আসবে তখন প্রয়োজনে প্রবেশ করতে দিব।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকালে কর্মীদের ১০ সদস্যর একটি দল কারখানার ভেতরে খুঁজে দেখেছে। ভেতর কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তাঁরা।
এ বিষয়ে টঙ্গী মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে পরে কথা বলবে বলে জানায়।
তাছাড়া ন্যাশনাল ফ্যান প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরি মেনেজার টিটু হাওলাদারকে কেন থানায় আটকে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসা জন্য তাকে আনা হয়েছে।