স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর সঙ্গে তার সাবেক প্রেমিক সৈকতের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন রুম্পাকে নিয়ে সিদ্ধেশ্বরীর সেই ভবনটিতে তাকে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আটকের পর রবিবার সৈকতকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ জানিয়েছেন, ২২ বছর বয়সী সৈকত আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বিবিএ’র ছাত্র। তাকে খিলগাঁও এলাকা থেকে আটক করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই প্রেমিক সৈকতের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিলো রুম্পার। বিভিন্নভাবে তাকে এড়িয়ে চলতো সৈকত। ঘটনার দিন তিনি রুম্পার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তারা সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসায় দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার দিন গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে সৈকতসহ রুম্পা ওই ভবনে প্রবেশ করেন। ঘটনা তদন্তে রুম্পার মোবাইল ফোনের কললিস্ট বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলেও জানান গোয়েন্দারা। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের দুই ভবনের মাঝে রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদেহ দেখে আশেপাশের লোকজন কেউ চিনতে না পারায়, শনাক্তের জন্য নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়। তার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন রুম্পা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা দুটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বেরিয়ে যান রুম্পা।
রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।