বেতন-ভাতা, বোনাস ও নায্য অধিকারের দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদকারী পোশাক শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অবরোধের পর সোমবার দুপুর আড়াইটায় তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান। এর পরপরই সড়কের দুইপাশে যানচলাচল শুরু হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় পোশাক শ্রমিকদের এই অবরোধ। গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্হানের কারণে ঢাকা- মায়মনসিংহ মহাসড়ক সহ উত্তরার সব রাস্তগুলোতে ও বেড়েছে যানজোট। যানজোটের কারণে নাকাল হয়ে পড়েছে কর্মস্হল মুখী মানুষ।
আন্দোলনের সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিমানবন্দর সড়কে এনা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়।
নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান খশরু চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে বলেন, আমি সরকারি কাঠামো অনুযায়ী বেতন দেব। আপনারা ফিরে যান। যদি সরকারি কাঠামো অনুযায়ী বেতন দিয়ে গার্মেন্ট নাও চালাতে পারি, যদি গার্মেন্ট বন্ধ করে দিতে হয়, এরপর আমি ১ মাসের অগ্রিম বেতন দিয়ে যাব।
এর আগে ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল বলেন, ‘আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে থাকেন। যদি জ্বালাও-পোড়াও করেন তাহলে আমরা কোনো সহযোগিতা করব না। আমরা চাই আপনারা সরকারি কাঠামো অনুযায়ী বেতন পান। গতকাল আমরা সহ্য করেছি, আজ করছি। আর করবো না।’
তাদের আশ্বাসের পর পুলিশ পায়ে হেঁটে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সরে যায়।
কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের বেতন বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু মালিক পক্ষ সেই বাড়ানো বেতন বোনাস আমাদের দেয় না। তারা ঠিকমত বেতন ও দিতে চায় না। আমরা তো কষ্ট করে কাজ করি তাহলে কেন নায্য পাওনা দেয়া হবে না।
এর আগে শনিবার বিকাল ৪টা ও রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঢাকা-মায়মনসিংহ মহাসড়কে প্রথম অবরোধে নামেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ সরকার তাদের বেতন বাড়িয়েছে কিন্তু গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়না। উল্টো বেতনও সময় মত দেয়া হয়না বলে দাবি করেন তারা।