পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরও এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারলো না স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ টুর্নামেন্টের ফাইনালে বোলার-ফিল্ডার-ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের কাছে ৭৭ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। বল হাতে নিয়েই পাকিস্তানের শিবিরে শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার সুমন খান। ইনফর্ম সুমনের বলে দলীয় ৪১ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার উমাইর ইউসুফ ও হায়দার আলী। ইউসুফ ৪ ও হায়দার আলী ২৬ রান করেন।
শুরুর ধাক্কা সামলে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান উইকেটরক্ষক রোহেল নাজির। তৃতীয় উইকেটে ইমরান রফিককে নিয়ে ১১৭ ও অধিনায়ক সৌদ শাকিলের সাথে ৮৫ রান যোগ করেন নাজির। রফিক ৬২ ও শাকিল ৪২ রান করে আউট হন। তবে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির স্বাদ নেন নাজির। শেষ পর্যন্ত ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১১ বলে ১১৩ রান করেন নাজির।
শেষদিকে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান খুরশিদ শাহ’র ২৭ ও আমাদ বাটের ৭ বলে ১৫ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ ফিল্ডারদের ভুলে বড় টার্গেট দাঁড় করায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের ফিল্ডাররা ৬টি ক্যাচ ছাড়েন। বল হাতে স্বাগতিকদের সুমন ৩টি, হাসান ২টি ও মেহেদি ১টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩০২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশও।
মোহাম্মদ নাইম ১৬ ও সৌম্য সরকার ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এরপর শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত-ইয়াসির আলি-আফিফ হোসেন। কিন্তু তিন জনের কেউই বড় ইনিংস খেলে দলের প্রয়োজন মিটাতে পারেননি। শান্ত ৪৬, ইয়াসির ২২ ও আফিফ ৪৯ রান করে ফিরেন। ফলে ১৪৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের পথে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। ৩৯ বল বাকী থাকতে ২২৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শেষদিকে মেহেদি হাসানের ৪৫ বলে ৪২ রান বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাসনাইন ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
ম্যাচের সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের নাজির। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার পান বাংলাদেশের সৌম্য। টুর্নামেন্টে ৫ ইনিংসে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৪৪ রান করেছেন সৌম্য।