Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ শনিবার, সেপ্টেম্বার ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের ১৪ বছর কারাদণ্ড

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ০৭:৪৩ PM
আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ০৭:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কক্সবাজারের পেকুয়ার নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়ার রমিজ আহমদের ছেলে ও সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।

তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। মামলা হওয়ার সময়ে তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। মামলায় খালাস ব্যক্তিরা হলেন যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আজম, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ওসমান ছরওয়ার বাপ্পী, মোহাম্মদ কাইয়ুম ও মোহাম্মদ আলমগীর। তারা সবাই সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীরের সহোদর।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমএম আব্বাস উদ্দিন বলেন, র‌্যাব-৭-এর কক্সবাজারের তৎকালীন কর্মকর্তা পিএডি মিজান বাদি হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট অস্ত্র আইনে মামলাটি দায়ের করেন। ওই অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছেন জেলা জজ আদালত।

এতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় ১৪ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমদ।

জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমদ বলেন, র‌্যাব-৭-এর কক্সবাজারের কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট ভোর ৫টায় কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের কলেজ গেটের আন্নরআলী মাতবরপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

এ সময় দুটি এলজি, একটি দেশীয় বন্দুক, ১০ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ ১৭ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরসহ তার অপর চার সহোদরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে র‌্যাব কর্মকর্তা পিএডি মিজান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পেকুয়া থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এক বছর ৯ মাসের মাথায় মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার দাবি করেছেন, অস্ত্র উদ্ধার ঘটনাটি চক্রান্ত। ওই সময় জব্দ করা টাকাগুলো ব্যবসায়িক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন যুবনেতা জাহাঙ্গীর আলম। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করবেন তারা। তখন ন্যায়বিচার পাবেন বলে বিশ্বাস তাদের।
 

Bootstrap Image Preview