জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়া নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গুলশানর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারেন ও হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছন।
মনোনয়ন বঞ্চিতরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালিয়ে কার্যালয়টির গ্লাস ভাঙচুর করে। এতে এক সংবাদকর্মী ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কার্যালয়ের আশপাশ।
শেরপুর-২ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত ফাহিম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ-১ আসনের সেলিমুজ্জামান, চাঁদপুর-১ আসনের আ ন ম এহসানুল হক মিলনের সমর্থকেরা এ হামলা চালায়।
এ সময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে তাদের শান্ত হতে বার বার মাইকিং করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চলে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান কার্যালয়ের ভেতরেই রয়েছেন।
এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন এবং তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তাদের অনুসারীরা নয়াপল্টনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন এহসানুল হক মিলন এবং তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী। সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন এই মুহূর্তে জেলে আছেন।
এর আগে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান কার্যালয় থেকে বিএনপির ২০৬ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ওই তালিকায় চাঁদপুর-১ আসনে এহছানুল হক মিলনের নাম না থাকায় তার সমর্থকরা রাতেই গুলশান বিএনপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।