লচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বৈধতা দিয়ে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতি আদেশও দেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে আদালতের এই আদেশের পর সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিক সম্মলনের করেন নাসরিন আক্তার নিপুণ।
তিনি বলেন, ‘সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছে এই চেয়ারটা নিয়ে কেন এত যুদ্ধ। আমি কিন্তু প্রথম থেকেই বলছি আমি এই চেয়ারটা নিয়ে যুদ্ধ করছি না। আমার যুদ্ধটা একজন অপশিল্পীর বিরুদ্ধে, অপশক্তির বিরুদ্ধে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
‘সেখান থেকে আমাকে এক সময় আমাকে বলা হয়েছিল যে, কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় না ঘুরে আমি যাতে অভিনয় করি; আমি এখনও কাজ করে যাচ্ছি, আমি খুব ভালো দুটা ব্যবসা চালাই। আমাকে যখন আপনি কোর্টে নিতে বাধ্য করেছেন তখন তো আমি কোর্টে যাবই, আমি গিয়েছি এবং মহামান্য আদালত থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে নিপুণ বলেন, ‘এইটা সেকেন্ড টাইম, আমার লাইফে এই সেকেন্ড টাইম আমি কোর্টে গিয়েছি এবং বাংলাদেশে আমি কখনো কোর্টে যাইনি। এই সেকেন্ড টাইম আমি আমার শিল্পী সমিতির জন্য, এই শিল্পীদের জন্য আমি আজকে কোর্টে গিয়েছি, কোর্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছি।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত বুধবার অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে বৃহস্পতিবার নাসরিন আক্তার নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে চার সপ্তাহ পর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পান জায়েদ খান। আর নিপুণ পান ১৬৩ ভোট। নির্বাচন কমিশন জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করলে আপিল করেন নিপুণ। এতে তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এরপর বিয়ষটি নিয়ে হাইকোর্টে যান জায়েদ খান। এরপর জায়েদ ও নিপুণের আবেদনে বেশ কয়েকবার ওই পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসে। সর্বশেষ জায়েদ খানকে বৈধতা দিয়ে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।