Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ রবিবার, মে ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহানের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৪:২৪ PM
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৪:২৪ PM

bdmorning Image Preview


গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এর আগে তার বিদেশ যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোল্লা আবুল হাসান। আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক আগামী ৩০ মের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যা হয়েছিলঃ গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার রাতে গুলশান থানায় মামলা করেন তার বোন। এতে আসামি করা হয় বসুন্ধরা এমডিকে।

পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।

ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মামলার বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডির সম্পর্ক দুই বছরের।

এমডি এক বছর মেয়েটিকে বনানীর ফ্ল্যাটে রাখেন। পরে মনোমালিন্য হলে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যায়। তবে মার্চে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন।

তিনি বলেন, ২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। সে পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মেয়েটির সঙ্গে ওই এমডির মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, যে কোনো মুহূর্তে তার যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে।

এই ফোনের পর কুমিল্লা থেকে সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বোন। তবে গুলশানের ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি।

ডিসি সুদীপ বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে এলে ওই এমডির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গুরুত্ব বিবেচেনায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করছেন জানিয়ে ডিসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি সুদীপ বলেন, চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া এক লাখ টাকা। অগ্রিম দেয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। এরই মধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview