হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে সোনারগাঁওয়ের এক রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার একদিন পর সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের বিলাসবহুল রয়েল রিসোর্টে উঠলে স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন। পরে তিনি ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। বিষয়টি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে মামুনুলকে তারা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় হেফাজত নেতাকর্মীরা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের শ্বশুর বাড়িতে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
এ সময় তার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়। অপরদিকে তারা সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। হামলা চালানো হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনির বাড়িতে।
এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন ঢাকা মহানগর ১০ নম্বর এলাকার হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী।
অভিযোগ দায়েরের সময় তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের রুমেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন। পরে রুমের বাইরে এসে ওসির উপস্থিতিতে আবারও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।এ সময় এক হেফাজত কর্মী ৭১ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি বুলবুল আহম্মেদের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে জনস্বার্থে বদলি করা হয়েছে এবং বদলির কারণে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে হেফাজতের তাণ্ডবের পর সোনারগাঁয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৪ এপ্রিল বিকেল থেকে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল অব্যাহত রেখেছে।