Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ রবিবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবার পরকীয় প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন ছেলে, মৃত্যুর মুখে মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:৩৩ AM
আপডেট: ০৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:৩৩ AM

bdmorning Image Preview


বাবার প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমে জড়ান ছেলে। পেরে ওই মেয়ের সঙ্গেই ছেলেকে বিয়ে দেন মা হনুফা বেগম। এরপর থেকেই স্বামী মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুলের (৫০) সঙ্গে কলহ শুরু হয় তার। সবশেষ গত শনিবার (২ জানুয়ারি) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হনুফা। এখন তিনি সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘাস নিধনের বিষ পান করেছেন তিনি, অবস্থা আশঙ্কাজনক। হনুফার স্বামী মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক।

হানুফা বেগমের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে স্বামীর পরকীয়ার কারণে অতিরিক্ত টেনশনে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো। তবে জহুরুল তার স্ত্রীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছেন সাংবাদিকদের কাছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাইস্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী জহুরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায়ই যাতায়াত করত। এ থেকে জহুরুলের ছেলে শুভর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তা প্রেমে পরিণত হয়। বিষয়টি তার মা হানুফা বেগম জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে গোপনে ওই মেয়ের বিয়ে দেন। এরপর থেকেই স্বামী জহুরুলের সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো বলে জানান স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে হানুফা বেগম বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

হায়দারপুর গ্রামের কয়েকজন জানান, জহুরুলের গ্রামের বাড়ি হায়দারপুরে কাজ করতেন হানুফা। কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর বিয়েও করেন তারা। কিন্তু জহুরুলের পরিবার বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। এ কারণে হানুফা তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন। সেখানে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন জহুরুল। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন। জহুরুল তার স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে ২০০৭ সালে নিজ গ্রাম ও একই বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে জহুরুল অনৈতিক সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সে সময় মিটিয়ে নেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষক জহুরুলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, হানুফা নামে এক নারী সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন বিষপান করা অবস্থায়। তার পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সদর থানার এএসআই শাহিন বলেন, বিষপান করে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় আছেন তিনি। বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Bootstrap Image Preview