Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ১১ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রায়ের আগে মিন্নির 'ভাগ্য' নিয়ে যা বললেন রিফাতের বোন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:১৭ AM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:২০ AM

bdmorning Image Preview


বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় আজ। আর এ রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সবার নজর এখন আদালতের দিকে।

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। মিন্নিসহ এ মামলার ১০ আসামির সর্বোচ্চ সাজা চায় রিফাতের পরিবার।

বুধবারের রায়কে সামনে রেখে রিফাতের বোন ইসরাত জাহান মৌ বলেন, আমরা দুই ভাই-বোন। আমার বাবার আর কোনো ছেলে নাই। স্বাভাবিক কারণেই ভাইকে হারিয়ে আজ আমাদের পরিবার নিঃস্ব। ভাই আমার ছিল কলিজার টুকরা। সে ছিল আমার সাহস ও ভরসা। তারপরও আমরা ভাইয়াকে তো আর ফিরে পাব না। তবে মিন্নিসহ সব খুনির দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে কিছুটা শান্তি পাব। ভাইয়ার আত্মাও শান্তি পাবে। ভাইয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা চাই মাননীয় আদালতের কাছে।

মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা স্বস্তি পাই। ছেলেটার আত্মা যেন শান্তিতে ঘুমায়।

রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, ‘আমি সব আসামির ফাঁসি চাই। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড যেন আর না হয়। আমার মতো আর কোনও মায়ের বুক যেন খালি না হয়।’

এদিকে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস মিন্নি আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পাবে। মিন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফকে সেদিন রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। শুধু তাই নয়, আহত রিফাত শরীফকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়।

গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে নয়ন বন্ড ও তার বন্ধুরা রিফাত শরীফকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় মামলা করেন। মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়। আর প্রধান আসামি করা হয় নয়ন বন্ডকে। ৬ জুলাই বাদী মামলায় মিন্নিকে আসামি করার জন্য বরগুনা থানায় আবেদন করেন। ১৬ জুলাই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি গ্রেফতার হয়।

১৯ জুলাই মিন্নি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। মিন্নিকে বরগুনা জেলা জজ ৩০ জুলাই জামিন নামঞ্জুর করলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে হাইকোর্ট ২৯ আগস্ট জামিন দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ মিন্নির জামিন বাতিল চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে। চেম্বার জজ ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। সে থেকে মিন্নি জামিনে আছে।

Bootstrap Image Preview