Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

করোনাভাইরাস: আক্রান্ত শহর উহানেই জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির ২ পরীক্ষাগার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৫:০৯ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৫:০৯ PM

bdmorning Image Preview


চীনের হুবাই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনাভাইরাসটির উৎপত্তির সঙ্গে জীবাণু অস্ত্র সংশ্লিষ্ট গোপন কর্মসূচির সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের একজন বিশেষজ্ঞ।

সেখানে অত্যাধুনিক ভাইরাস গবেষণা পরীক্ষাগার উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির নিয়ে কয়েক বছর আগে স্থানীয় টেলিভিশনে করা একটি প্রতিবেদন চলতি সপ্তাহে রেডিও ফ্রি এশিয়া ফের সম্প্রচার করেছে।

ওয়াশিংট্ন টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে পারা চীনের ঘোষিত একমাত্র স্থাপনা হচ্ছে এই পরীক্ষাগার।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও জীবাণু অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড্যানি সোহাম বলেন, ভাইরাস গবেষণার এই ইনস্টিটিউটটি বেইজিংয়ের গোপন জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত।

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির কিছু কিছু পরীক্ষাগার চীনের জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির গবেষণা ও আধুনিকায়নে যুক্ত থাকতে পারে। কিংবা পরোক্ষ সংযোগ থাকতেও পারে। যদিও এটি দেশটির জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির মূল স্থাপনা নয়।

এর আগে নিজেদের কোনো জীবাণু অস্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে চীন। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের গত বছরের প্রতিবেদনে চীন গোপনে জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে সন্দেহ করে।

তবে এই ভাইরাসটি চীনের বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক গাও ফু।সোহাম বলেন, করোনাভাইরাস, বিশেষ করে সার্সের ভাইরাস নিয়ে ওই ইনস্টিটিউটে গবেষণা হয়েছে এবং সম্ভবত এখনও সেখানে এ ভাইরাসটি আছে। ব্যাপক অর্থে সার্সও চীনের জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচিরই অংশ, বেশ কিছু গবেষণাগারে এটি নিয়ে কাজ হয়েছে।

উহানের এই ইনস্টিটিউটটির করোনাভাইরাস নিয়ে কাজের পুরোটাই চীনের জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচিরই অংশ কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না তিনি। তবে এমনটা হতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের এ সাবেক সামরিক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, চীনের ঘোষিত একমাত্র এ ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটটির নিরাপত্তা মাত্রা প্যাথোজেন লেভেল ৪। অর্থ্যাৎ, এখান থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ যেন না ছড়ায় সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা সুরক্ষার প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়।

তার মতে, উহানের এ ইনস্টিটিউটটি চীনের বিজ্ঞান একাডেমির নিয়ন্ত্রণাধীন। যদিও এর কিছু পরীক্ষাগারের সঙ্গে চীনা প্রতিরক্ষা বাহিনীর জীবাণু অস্ত্র সংক্রান্ত কর্মসূচির যোগসাজশ থাকতে পারে।

ওয়াশিংটন টাইমসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সোহাম উহানের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রডাক্টসের কথাও বলেছেন। ১৯৯৩ সালে চীন তাদের এ স্থাপনার কথা ঘোষণা করে।১৯৮৫ সালে জীবাণু অস্ত্র কনভেনশনে (বিডব্লিউসি) যোগ দেয়ার পর চীন এ সংক্রান্ত যে ৮টি গবেষণাগার বানিয়েছিল, উহানের এ ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রডাক্টস তার একটি।

ইতিমধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে চার হাজারেরও বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিলেও একদিনের মধ্যেই আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।এটি চীনজুড়ে যেমন ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনি বিশ্বের ১৬টি দেশে বিস্তার ঘটেছে।

Bootstrap Image Preview