ভারতে পাস হওয়া বিতর্কিত নাগরিক আইন সংশোধনী (সিএএ) ও নাগরিকপুঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিতর্কের মাঝে সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢল নেমেছে। চোরাই পথে দেশে ফিরছে বাংলাদেশিরা।
গত ৩ মাসে কয়েকগুণ বেড়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরার সংখ্যা। ইন্দো-বাংলা পেট্রাপোল সীমান্তের অভিবাসন দফতরের হিসাব, প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার বাংলাদেশি বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ঢুকছেন। সীমান্তে গিজগিজ করছে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিড়।
ঘরওয়াপসির রুট কোন পথে? উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকার পাচার পথের ঘোজাডাঙ্গা, আংরাইল, বর্ণবেড়িয়া রুটই এখন নিরাপদ। বৈধভাবে বাংলাদেশে তো আসছেই। সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাই পথও। যে পথে ৫০০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছেন হাজারের বেশি অনুপ্রবেশকারী। চোরাপথের লিঙ্কম্যান ও ধৃত বাংলাদেশিদের বক্তব্য, বেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা খেতে হচ্ছে তাদের। সেই আতঙ্কেই দেশে ফেরার হিড়িক। কেউ বৈধ উপায়ে। কেউ বিএসএফের নজর এড়িয়ে চোরাপথে ফিরে যাচ্ছে বাংলাদেশে।
বিএসএফ-পুলিশের হাতে ধরা পড়ে হাজতবাসের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। চোরাপথে বাংলাদেশ ঢুকতে গিয়ে গত ৩ মাসে ধরা পড়েছে কয়েকশো অনুপ্রবেশকারি। থানা, আদালত, জেল সর্বত্রই ভিড় বাংলাদেশি।
বনগাঁ আদালতের সরকারী আইনজীবি সমীর দাস জানান, বিএসএফের হাতে যারাই ধরা পড়েছে, তারা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিল। ভিনরাজ্যে ধরপাকড় শুরু হতেই এখন বাংলাদেশে দল বেঁধে ফিরতে চাইছে ওরা।
বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার প্রবণতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। তাঁর কথায়, এই পরিস্থিতির জন্য সীমান্তে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের টার্গেট করে ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে।