নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ৭নং বজরা ইউনিয়নের বারাহি নগর গ্রামে পেশী শক্তি, জনবল ও ক্ষমতার প্রভাবে আদালতের আদেশ অমান্য ও বাদী পক্ষকে প্রাণে হত্যাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৪৬নং বারাহি নগর মৌজার জেলা জরিপি ১৯৭ নং খতিয়ানের ২৫৬,২৫৭,২৫৮ দাগের আন্দরিয় ভূমিতে রেকর্ডীয় প্রজা রাজ চন্দ্র মজুমদার হইতে ১৯২৬ ইং সনের ২৩৭২ নং দলিলে ৪০ শতাংশ ভূমিতে মালিক ছিলেন মাধব চন্দ্র গং, যাহা এস, এ ২৭২ নং খতিয়ানে মাধব চন্দ্র গং এর নাম লিপিবদ্ধ হয় এবং ৮১ খতিয়ানে ২৫৮ দাগে মালিক ছিলেন কৃষ্ণকুমার সাহা।
কৃষ্ণকুমারের ভূমি খরিদ সূত্রে মালিক ছিলেন জনৈক ছেলামত উল্যাহ। ছেলামত উল্যাহ লোকান্তরে ওয়ারিশ সূত্রে আব্দুর জাহের গং মালিক দখলকার থাকিয়া ভূক্তভোগী পিতা মাধব চন্দ্র লোকান্তরে ওয়ারিশ ও ভোগি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক ছিলেন করনা কান্ত মজুমদার।
করনা কান্ত মজুমদার হইতে ১৯৬৯ ইং সনে ৬৩৩৪ ও ৬৩৩৬ নং দলিলে খরিদ সূত্রে ২৫৮দাগের ভূমিতে মালিক ছিলেন ছিদ্দিক উল্যাহ ও সূলতান আহমেদ ভূঁইয়া গং। সুলতান আহমেদ লোকান্তরে ওয়ারিশ সূত্রে ও জের ওয়ারিশ সূত্রে,ছেলামত উল্যাহ ও ছিদ্দিক উল্যাহ গং হইতে দলিল সূত্রে মালিক হন ওমর ফারুক ভূঁইয়া, এনায়েত উল্যাহ ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া গং। ১৯৬৯ সন হইতে সরকার বাহাদুর বরাবরে রাজস্ব পরিশোধ করিয়া ১৯৯৬ ইং সনে বি এস জোনাল জরিপে ২৫৮ দাগের ভূমি ওমর ফারুক গং নামে বি এস জরিপি ডিপি ৯নং খতিয়ানে রেকর্ড ভূক্ত হয়।
প্রতিবেশী মাইনুল হাসান লিটন, জাহানারা বেগম, জাহিদুল হক ও সফিকুল ইসলাম গং ওমর ফারুক গং এর উল্লেখিত ২৫৮ দাগের ভূমিতে জবর দখলের পাঁয়তারা করিতে থাকায় ওমর ফারুক গং বাদী হয়ে মাইনুল হাসান লিটন গং এর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, নোয়াখালীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করিয়া দেওয়ানী ৪৭১ /২০১৯ দায়ের করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত ০১/১২/২০১৯ ইং উল্লেখিত ২৫৮ দাগের ভূমিতে স্থিরাবস্থা আদেশ ইস্যু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ জাহেদুল হক, জাহানারা বেগম গং বাদী ওমর ফারুকসহ তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যাসহ, নামে বেনামে মিথ্যা ঘটনা সাজাইয়া মামলা দিয়া হয়রানী নাজেহাল করার হুমকি প্রদর্শন করে।
পেশী শক্তি, জনবল ও ক্ষমতার প্রভাবে ০৮/১২/২০১৯ ইং তারিখ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিবাদী মাইনুল হাসান লিটন গং উল্লেখিত ২৫৮ দাগের ভূমিতে এক চালা ঘর তৈরী করিয়া স্থানীয় জনৈক সোলাইমানের কাছে কথিত চুক্তিতে ভাড়া দেয়। এ ব্যাপারে (আদালত অবমাননার অভিযোগে) ওমর ফারুক গং বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মিসকেস নং ০১/২০২০ মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা যায়, উল্লেখিত ভূমির দখল বে-দখলকে কেন্দ্র করে শান্তি শৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান । সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিবাদী মাইনুল হাসান লিটন জানান, নালিশী ২৫৮ দাগে বি এস জরিপ কালে তাদের নামে কোন রেকর্ড পত্র নাই।