ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ দাবি করেছেন, এ ঘটনায় তাকে এবং প্রেসিডেন্টকে অন্ধকারে রেখেছিল সেনাবাহিনী। খবর বিবিসি’র
বুধবার প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও গভীর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে জনগণকে সততার সঙ্গে তথ্য দেওয়া। এ ঘটনায় জনগণের দুঃখ তখনই লাঘব হবে যখন তারা দেখবে এই ঘটনার দায় আমরা কেউ স্বীকার করছি।’ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে সবকিছু জনগণকে জানাতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রুহানি।
এদিকে ভারত সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টেলিভিশন বার্তায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘আমাকে এবং রাষ্ট্রপতিকে ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। যখন আমরা জানলাম সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি।’ এসময় তিনি বিমান বিধ্বস্তের দায় স্বীকার করায় সেনাবাহিনীর সাহসের প্রশংসাও করেন। যদিও সমালোচকরা বলছেন, ঘটনার তিন দিন পর বহিঃর্বিশ্বের চাপের মুখে সেনাবাহিনী দায় স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৮ জানুয়ারি ইরানের খামিনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী পিএস৭৫২ বিমানটি। এতে বিমানের ১৭৬ যাত্রী ও ক্রুর সবাই প্রাণ হারান। এই ঘটনায় ইরানকে দোষী করে পশ্চিমা বিশ্ব। প্রথমদিকে অভিযোগ অস্বীকার করলেও চাপের মুখে সেনাবাহিনী স্বীকার করে ভুলবশত তাদের ছোঁড়া মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন ও সেনাবাহিনীকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ।