Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৮০ মানুষের মৃত্যু, খামেনির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ইরান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০২০, ০৪:৫৪ PM
আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০২০, ০৪:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ইরানের ভুল মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের ১৮০ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানায়, শনিবার (১১ জানুয়ারি) ইরানি সামরিক বাহিনী ভুলক্রমে ইউক্রেনের বিমানটি ভূপাতিত করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় তেহরান। এর পরপরই ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদত্যাগের দাবি জানাতে শুরু করেন জনতা।

টুইটারে পোস্ট করা একাধিক ভিডিওতে রাজধানী তেহরানের আমির খাবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কয়েকশ মানুষকে ‘কমান্ডার-ইন-চিফ (খামেনি) পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করুন’ বলতে দেখা যায়। যদিও ভিডিওগুলোর যথার্থতা এখন পর্যন্ত যাচাই করতে পারেনি যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় এই বার্তা সংস্থাটি।

এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের ‘বোয়িং-৭৩৭’ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৮০ জনের প্রত্যেকেই মারা যান।

এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview