Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাস্তা থেকে যুবককে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন নারী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৩৭ PM
আপডেট: ০৮ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


রাজশাহীতে সুরুজ বাসফর (২৬) নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিয়ের নিবন্ধন করা হয়নি। সনাতন ধর্মের প্রথা অনুযায়ী মাথায় সিঁদুর দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এই বিয়ে।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ আনেন সুরুজ বাসফর। তার বাড়ি রংপুরে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুরুজ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। বাবু হেলা নামে রামেক হাসপাতালেরই রান্নাঘরে দায়িত্বরত চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর মেয়ের সঙ্গে গত শনিবার তার বিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন করে সুরুজ বলেন, হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকি আমি। পাশেই কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকেন বাবু হেলা। তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েকে বিয়ের জন্য আমাকে প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই প্রস্তাব নাকচ করি দেই আমি। এরই মধ্যে কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে নতুন বাসা খুঁজতে শুরু করি।

শনিবার বাবু হেলার স্ত্রী এবং মেয়ে আমাকে বাসা দেখানোর নাম করে হাসপাতাল থেকে ডেকে নিয়ে যান। অটোরিকশায় ওঠার পর হঠাৎ অপরিচিত দুই যুবকও অটোরিকশায় ওঠেন। তারা জোর করে আমাকে হড়গ্রাম শিবমন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে ৭-৮ জন যুবক অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু মন্দিরে ছিলেন না কোনো ঠাকুর। মন্দিরের সামনে আমাকে অস্ত্রের মুখে বাবু হেলার মেয়ের মাথায় সিঁদুর দিতে বাধ্য করা হয়। তখন সেই ছবি তোলা হয়। এরপর থেকে প্রচার চালানো হয় আমার বিয়ে হয়ে গেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনার পর থেকে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কখনো বাবু হেলার বাসায় যাইনি। তার মেয়েকেও বাসায় নিয়ে যাইনি। এ বিয়ে মানি না আমি।

সুরুজ বলেন, এ ব্যাপারে প্রথমে রামেক হাসপাতাল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ দেই। তারপর থেকে বাবু হেলার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমার মামা এবং বোন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এ সময় তাদের মারধর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরদিনই রাজপাড়া থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে অভিযোগ করতে চাই। কিন্তু কোনো ছেলেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। কয়েক দফা থানায় ঘুরেও পরে অভিযোগ দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে সুরুজ বাসফরের মামা শ্রী তাজ এবং সহকর্মী জনি প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বাবু হেলাকে ফোন করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরার কারণে বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার।

এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, নিবন্ধন না হলে তো আইনগতভাবে বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই। এটা প্রথা অনুযায়ী হতে পারে। আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।

সূত্র : জাগো নিউজ

Bootstrap Image Preview