নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নির্মাণাধীন যোগিদিয়া জিপিএস টু সিরাজ মিয়ার বাজার সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ কয়েকটি অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সড়কে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালায় দুদক। এ সময় সড়ক খুঁড়ে দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যোগিদিয়া জিপিএস টু সিরাজ মিয়ার বাজার সড়কে এ অভিযান চালানো হয়।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় সহকারী পরিচালক সুবেল আহম্মদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা রাস্তা খুঁড়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে তদন্তে নিম্ন মানের কাজের প্রমান পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসাইন দুদকের অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্মাণাধী সড়কটির ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ মান নিশ্চিত করে কাজ বুঝে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে এ অনিয়মে নিরব ভূমিকায় থেকেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, নিন্মমানের কাজ সম্পর্কে উপজেলা এলজিইডির কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনুমানিক ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে যোগিদিয়া জিপিএস টু সিরাজ মিয়ার বাজার সড়ক নির্মাণে ১৪০০ মিটার রাস্তার পাকাকরণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেঞ্চুরী টেড্রার্স’র কর্ণধার মোহাম্মদ সেলিম উল্যাহ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেঞ্চুরী ট্রেডার্স’র কর্ণধার এর ভাই সোহেল জানান, তার ভাই হার্ট স্ট্রোক করে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।