Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শনিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগুন ধরাতেই বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৩

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৭ PM
আপডেট: ০২ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে জমা থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় পাইনাদী সিআইখোলার ৬তলা বিশিষ্ট ইতালি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধরা হলো কবির হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী রেখা বেগম (৫৫) ও মেয়ে সুফিয়া (২৮)।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানায়, পাইনাদী সিআইখোলা এলাকায় সুফিয়া বেগমের ইতালি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট বাসায় কবির হোসেন তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে চুলা জ্বালানোর জন্য ম্যাচের কাঠি জ্বালালে ওই ফ্ল্যাট বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে রান্নাঘরসহ তিন ঘরেই আগুন ধরে যায়। আসবাবপত্র পুড়ে যায়। বাসার দরজাগুলো ও থাই গ্লাস ভেঙে যায়। বিকট শব্দ শুনে প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নেভায়। পরে দগ্ধ অবস্থায় গৃহকর্তা কবির হোসেন, তার স্ত্রী রেখা বেগম ও মেয়ে সুফিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।

আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান জানান, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের চুলার গোড়ায় পাইপে লিকেজ ছিল বা চুলা বন্ধ না করেই পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়েছিল। এতে রাতভর দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় বাসায় ভেতরে গ্যাস জমে যায়। ভোরে কেউ চুলা জ্বালাতে গেলে এ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে বাসার ভেতের আগুন ধরে গেলে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান জানান, দগ্ধদের মধ্যে কবির হোসেনের শরীর ৫৫ ভাগ, স্ত্রী রেখা বেগমের ২০ ভাগ ও মেয়ে সুফিয়ার ৫ ভাগ পুড়ে গেছে। গৃহকর্তার কবির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহজাহান জানান, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলেও স্থানীয়রা আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাসের চুলা বন্ধ না করে ওই পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাই সারারাত গ্যাস প্রবাহিত হয়ে রুমে আটকা পড়েছিল। এ কারণেই চুলা জ্বালানোর সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

 

Bootstrap Image Preview