Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

৭১ সালে আজকের দিনে হানাদার মুক্ত হয় লক্ষীপুর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:১৪ PM
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:১৪ PM

bdmorning Image Preview


আজ লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে এ জেলায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। জেলাবাসী মুক্তি পায় পাক-বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আল বদরদের হত্যা, লুট আর নির্যাতনের হাত থেকে।

লক্ষ্মীপুরকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস জেলার বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ১৭টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে শহীদ হন ১১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক হাজার মুক্তিকামী বাঙালি।

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ধরে পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসররা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে চালায় নারকীয় তাণ্ডবলীলা। হানাদার বাহিনী শহরের বাগবাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী হাজার হাজার নর-নারীকে ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন চালাত। নারকীয় এসব হত্যাযজ্ঞের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবর, মাদাম ব্রিজ, পিয়ারাপুর ব্রিজ ও মজুপুরের কয়েকটি হিন্দু ও মুসলমান বাড়ি।

১৯৭১ সালের ২১মে ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর ও দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ায় ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা চালায় পাকহানাদার বাহিনী । বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগসহ বহু মানুষকে গুলি করে ও বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা । এতে শহীদ হন প্রায় ২১ জন মুক্তিকামী বাঙালি।

একাত্তরের  এক ডিসেম্বর থেকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী এবং সুবেদার আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে। অবশেষে চার ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দোসর ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন লক্ষ্মীপুরবাসী।

Bootstrap Image Preview