অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৮ নভেম্বর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ স্নেহভাজন এই নেতা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মোহাম্মদ হানিফের একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
মোহাম্মদ হানিফের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একজন সফল রাজনীতিক জননেতা মোহাম্মদ হানিফ তার কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।
মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অত্যন্ত স্নেহভাজন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ অনুসারী। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে তিনি রাজনীতি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে তিনি আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে মোহাম্মদ হানিফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে।
১৯৪৪ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখে ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।