Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

৪ গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানি তোলার ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১১ PM
আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১১ PM

bdmorning Image Preview


চট্টগ্রামের পটিয়া থানার চারটি গ্রামে অব্যাহতভাবে সুপেয় পানি সরবরাহ করার নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পানি সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত এই চার গ্রামের ভূগর্ভস্থ পানি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গ্রামগুলো হলো- চরকানাই, হুলাইন, পাঁচুড়িয়া ও হাবিলাসদ্বীপ।

এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পানি আইনের অধীনে এই চারটি গ্রামকে পানি সংকাটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হবে কি না তা তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।

পরে অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের পটিয়া থানার চরকানাই, হুলাইন, পাঁচুড়িয়া ও হাবিলাসদ্বীপ এই চারটি গ্রাম থেকে শিল্প কারখানা কর্তৃক ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে বসবাসকারী ৩০ হাজার মানুষ পানি পাচ্ছিল না। ৩শ' টিউবয়েল বিকল হয়ে গিয়েছিল।

এ অবস্থায় হাইকোর্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর পক্ষে থেকে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এর আগে রুল জারি করেছিলেন। আজ সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‌‘নেমে গেছে পানির স্তর : ১২ গ্রামে খাওয়ার পানির সংকট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের অনেক নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে এসব গ্রামে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, দুই ইউনিয়নের কিছু কারখানায় অপরিকল্পিতভাবে গভীর নলকূপ বসানোয় বাসিন্দাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ওয়াসার আওতাধীন এলাকা ছাড়া যেকোনো স্থানে গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন করতে হলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়।

কিন্তু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র বলছে, সরকারি নলকূপ ছাড়া পটিয়ায় গভীর কিংবা অগভীর নলকূপ স্থাপন করতে কেউ তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়নি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে বেলা হাইকোর্টে রিট করেন।

Bootstrap Image Preview