Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাড়ে ৩ লাখ দক্ষ শ্রমিক নেবে জাপান, নুন্যতম বেতন দুই লাখ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৭ AM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:১৫ AM

bdmorning Image Preview


জাপানে শ্রমিক প্রেরণের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অনেক আগেই। দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্য জাপানগামী কর্মীদের সরকারি এবং বেসরকারিভাবে জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তবে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) হলেও এখনো ১৪টি খাতের কোনো খাতেই দেশটিতে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী জাপান সরকার ছয় বছরের মধ্যে ১৪টি সেক্টরে (২০২৫ সাল) বাংলাদেশসহ ৯টি দেশ থেকে সাড়ে তিন লাখ দক্ষ জনবল নেবে।

জানা গেছে, যেসব শ্রমিক জাপান যাওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হবেন তার আগে তাদেরকে অবশ্যই জাপানিজ ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। শুধু জাপানিজ ভাষায় অনর্গল কথা বললেই হবে না, তাকে অবশ্যই জাপানিজ ভাষায় লেখারও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

বেসরকারিভাবে জাপানে কর্মী পাঠানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া ১১ রিক্রুটিং এজেন্সির একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে, এক প্রশ্নের উত্তরে ওই মালিক বলেন, জাপানি ভাষায় অনেকগুলো লেভেল রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি লেভেল প্রত্যেক শ্রমিককে পার হতে হবে। একটি এন-ফোর (কঠিন) এবং এন-ফাইভ (এন ফোর থেকে একটু সহজ)। জাপানিজ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে তিন মাসের ট্রেনিং নিয়ে যারা জাপানি ভাষা শিখতে পারবেন।

তাদেরকে পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ ঢাকার জাপান দূতাবাস থেকে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি পরীক্ষায় (জেএলপিটি) অবশ্যই উত্তীর্ণ হয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে জাপানে লোক পাঠানোর অনুমতি পাওয়ার পরই তার নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টারে জাপানিজ প্রশিক্ষক দ্বারা ভাষা প্রশিক্ষণের ওপর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তিন মাসের কোর্সের জন্য ভর্তি ফি ১৫ হাজার টাকা। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে আরো ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাষা শিখতে পারবে না তাদের পরবর্তীতে রিনিউয়াল ফি দিয়ে আরো দু-তিন মাসের কোর্স করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই একজন শ্রমিক জাপানিজ ভাষার জন্য প্রয়োজনীয় এন-ফোর এবং এন-ফাইভ (লিখিত ও স্পোকেন) ভাষা শিখতে পারবে। এর পরই দ্বিতীয় ধাপের জন্য তাকে পাঠানো হবে ঢাকার জাপানি দূতাবাসে। সেখানে কর্মীরা পরীক্ষা দেবে।

জাপানে যাওয়ার পর কোম্পানিতে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পরও প্রথম ধাপে তাদের বেতন হবে ন্যূনতম পৌনে দুই লাখ টাকা। আর যারা আইটি খাতের ওপর দক্ষতা অর্জন করে যাবেন, তাদের একেকজনের সব সুযোগ সুবিধা ছাড়াই সর্বোচ্চ তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন হতে পারে।

Bootstrap Image Preview