বাংলাদেশ ও নেপালের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে দুই দেশের মধ্যকার প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কংগ্রেস সেন্টারে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি'র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৮তম জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে আজারবাইজান সফরে রয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
পিটিএ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিটিএ ইস্যুটা অনেকদিন থেকে নেপালের কাছে আছে। এটি দ্রুত শেষ করে ফেললে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
জানা গেছে, বৈঠকে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি, বন্দর ব্যবহার, ব্যবসা-বাণিজ্য কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-নেপাল ভুটান (বিবিআইএন) প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা সম্পর্কে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বিবিআইএন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে শহীদুল হক বলেন, ভুটানের এখন যদি অসুবিধা হয় তবে বাকি তিন দেশ মিলে এটা করে ফেলতে পারি। নেপাল এতে রাজি আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি এটা রেইজ করেছি, তোমরাও রেইজ করো। এটা আমরা করে ফেলি।
আগামী মাসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নেপাল সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নভেম্বরের ১১-১৪ তারিখে নেপাল সফরে যাবেন। ওই সময় যাতে কিছু আউটকাম আসে সে বিষয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলাপ হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডউইল আশা করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।