Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ বৃহস্পতিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশের তলদেশে যা পেলো বিজ্ঞানীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:২৪ PM
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:২৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


একটি প্রাচীন সমুদ্র তলদেশের সন্ধান বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশের তলদেশে পেয়েছেন। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এর অবস্থান বলে জানা যায়।  

ভারতের ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের সেন্টার ফর আর্থ, ওসেন অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক সায়েন্সের অধ্যাপক কেএস কৃষ্ণ এবং ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ওসেনোগ্রাফির ডিএসটি-ইন্সপায়ারের গবেষক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল যৌথ গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের এই গবেষণার ফলাফল কারেন্ট সায়েন্স সাময়িকীর সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্র তলদেশের মাধ্যমে সামুদ্রিক শিলাগুলো কোলকাতা ও উত্তরের রাজমহল-সিলেট, শিলং থেকে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো ছিলো বঙ্গোপসাগরের আদিশিলা।

তবে এগুলো বিপুল পরিমাণে হিমালয় থেকে বয়ে আসা গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বয়ে আসা পলি ও অন্যান্য বর্জ্যের নিচে চাপা পড়ে যায়। এই প্রক্রিয়াতেই বঙ্গোপসাগরের আদি অঞ্চল ও একটি নতুন বিস্তৃত ভূখন্ড গড়ে ওঠে।

বর্তমানে এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের ভূখন্ডের (সিলেটের) অর্ন্তভূক্ত। বৈশ্বিক মহাসাগরের একটি অংশ এভাবেই পলিমাটির নিচে চাপা পড়ে যায় অথবা দ্বীপ হিসেবে টিকে থাকে। তবে প্রথমবারের মতো আবিস্কৃত বিস্তৃত ভূখন্ডের নিচে সামুদ্রিক শিলার অবস্থান পৃথিবীর জন্য একটি অনন্য ঘটনা।

ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের এক প্রেস রিলিজে জানায়, বহু বছর ধরে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ওসেনোগ্রাফিতে দেরাদুনের ওএনজিসি এবং হোস্টনের রাইস ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের গঠনাত্মক বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছিল।

গবেষক দলের একটি অংশ ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদে চলে আসার পরও এই কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো। দীর্ঘমেয়াদী এই গবেষণায় মহাসাগরীয়পূর্ব বঙ্গোপসাগরের মহাদেশীয় ভাঙ্গনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও জ্যামিতিক চিত্র ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

  •  
Bootstrap Image Preview