Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ বুধবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার সেই হুইপপুত্রের অস্ত্র মহড়ার ভিডিও ভাইরাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৮ PM
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সম্প্রতি জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের সাথে চট্রগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীর কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়।

মুঠোফোনের সেই অডিও ভাইরাল হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই এবার এমপি পুত্র শারুনের যুদ্ধংদেহী মনোভাব সম্পন্ন অস্ত্র মহড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক সামাজিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া ।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে ব্যাপক নিন্দিত হন হুইপ শামসুল। তার পুত্র শারুনের বিরুদ্ধে তারই পিতার বয়সী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম চৌধুরীকে টেলিফোনে অশ্লীল বাক্যবানের অভিযোগও ওঠে।

মুঠোফোনের সেই অডিও ভাইরাল হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই এই ভিডিওটি ভাইরাল হল। এর ফলে মাঠ পর্যায়ের অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সামরিক মহড়ার মতোই যুদ্ধংদেহী মনোভাবে হুইপপুত্র শারুন এ কে ৪৭ রাইফেল সদৃশ্য আগ্নেয়াস্ত্র (কেউ কেউ বলছেন এসএমজি) থেকে গুলি বর্ষণ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের বাইরে কোনো স্থানে এই অস্ত্র মহড়া দেন হুইপুত্র শারুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিও লিংকটিকে ঘিরে তীর্যক মন্তব্য অব্যাহত রয়েছে। অনেকেই উল্লেখ করেছেন,

‘যুদ্ধক্ষেত্রের মহড়ার মত ভিডিও ফুটেজই প্রমাণ করে এ সমাজে কতটা লাগামহীন এই হুইপপুত্র!

কেউ বা আবার বলছেন, 'ভিডিওটি হয়তো দেশের বাইরে ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু অস্ত্র চালানো দেখে মনে হচ্ছে, শারুন খুব প্রশিক্ষিত। কারণ এ ধরণের অস্ত্র ফায়ারিংয়ের সময় শরীর কন্ট্রালে খুবই কষ্টসাধ্য। অথচ তিনি ধারাবাহিকভাবে ফায়ার করে চলেছেন।

‌‘এটি একজন উচ্ছন্নে যাওয়া যুবকের রূপ শুধু নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিকেও মাঠপর্যায়ে প্রশ্নবিদ্ধ করছে’ বলে উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের ফাঁস হওয়া কথোপকথনের সেই অডিওতে দিদারুল আলম চৌধুরীকে বলেন, 'গালবাজি যেখানে-সেখানে করবি রাস্তাঘাটে চড় মেরে মুখের দাঁত সবগুলো ফেলে দেবো। বেয়াদব কোথাকার।' এছাড়া শারুন বেশ কিছু গালাগালাজও করেন।

পরে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন গণমাধ্যমে বলেন, দিদারুল আলম চৌধুরী নিজের উস্কানিমূলক অশ্লীল কথাগুলো কেটে ফেলে দিয়ে বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে শুধু আমার রাগন্বিত বক্তব্যগুলো প্রচার করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

আর এ ব্যাপারে দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, আজ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম, তার সাথে কথোপকতনের অডিও রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে। এটা জেনে নিশ্চিত হলাম যে, রক্ত তার নিজস্ব গতিতে চলে এটাই স্বাভাবিক। অডিও রেকর্ডে একটি শব্দও যদি এডিট করা হয়েছে প্রমাণে আমি ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম।

Bootstrap Image Preview