Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ১১ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলায় মাস্টার্স করে পদার্থ-রসায়নের ক্লাস নেন অধ্যক্ষের মেয়ে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৬ PM
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৬ PM

bdmorning Image Preview


বাংলায় অনার্স (স্নাতক) ও মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) সম্পন্ন করে পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক হয়েছেন আইরিন সুলতানা। মাগুরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পদার্থ-রসায়নের ক্লাস নেন তিনি। আইরিন সুলতানা একই কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ূব আলীর মেয়ে। 

অধ্যক্ষ আইয়ূব আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এমন বহু অভিযোগ এসেছে। চার পর্বের ধারাবাহিকের প্রথমটি থাকছে আজ। 

জানা যায়, ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে বাংলা বিষয়ের ওপর অনার্স (স্নাতক) ও মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) সম্পন্ন করেছেন আইরিন সুলতানা। বাবা কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ায় বাংলা বিভাগে শিক্ষক সংকট না থাকা সত্ত্বেও মেয়েকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রথমে অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিলেও বর্তমানে কলেজের পদার্থ-রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক আইরিন সুলতানা। অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও পদার্থ-রসায়ন বিষয়ের ক্লাস নেয়ায় ফল বিপর্যয় ঘটছে শিক্ষার্থীদের।

মাগুরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এগ্রো মেশিনারি ট্রেডের দ্বাদশ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অধ্যক্ষ স্যারের মেয়ে আইরিন ম্যাডাম আমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নেন। পাশাপাশি পদার্থ ও রসায়ন বিষয়েরও ক্লাস নেন আইরিন ম্যাডাম। তিনি বাংলার শিক্ষক। বাংলার শিক্ষক হয়ে অন্য বিষয়ের ক্লাস নেয়ায় কয়েক বছর ধরে আমাদের ফলাফল বিপর্যয় ঘটছে। আইরিন ম্যাডাম বিজ্ঞান ভালো পড়াতে পারেন না- বিষয়টি একাধিকবার অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।

কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই কলেজে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং (আইটিআই), ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ইলেকট্রনিকস কন্ট্রোল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ও এগ্রো মেশিনারির পাঠদান করা হয়। এসব ট্রেডের প্রত্যেকটিতে একজন চিফ ইন্সট্রাক্টর, একজন ইন্সট্রাক্টর, দুজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদ রয়েছে। এসব ট্রেডে শিক্ষক সংকট রয়েছে। দীর্ঘদিনেও এসব ট্রেডে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কিন্তু বাংলা বিভাগে শিক্ষক সংকট না থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষের মেয়ে আইরিন সুলতানাকে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ের ক্লাস নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষিকা আইরিন সুলতানা বলেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করেছি আমি। কাজেই পদার্থ ও রসায়ন পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে আমার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাগুরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আইয়ূব আলী বলেন, সব দপ্তরেই কিছু না কিছু দুর্নীতি ও অনিয়ম আছে। সেসব না দেখে আমার মেয়েকে খুব অল্প টাকার একটা চাকরি দিয়েছি তার পেছনে পড়লেন কেন?

Bootstrap Image Preview