Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২২ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা: কাদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১২:০৪ PM
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১২:০৪ PM

bdmorning Image Preview


১৫ আগস্টের বিশ্বাসঘাতকতার ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো হত্যাকাণ্ডে অন্তঃসত্ত্বা নারী, অবুঝ শিশু টার্গেট হয়নি, যেটা হয়েছিল ১৫ আগস্টে। শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকলে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর-নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলতেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের সহযোগী, পুনর্বাসনকারী এবং বিচারের পথ রুদ্ধকারী ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা শুধু কর্নেল ফারুক ও রশীদের স্বীকারোক্তি নয়, আরও অনেক বিষয় রয়েছে। বাস্তবে খুন করা, আর খুনে সহযোগিতা করা উভয়ই সমান অপরাধ। জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের সহযোগী, পুনর্বাসনকারী এবং বিচারের পথরুদ্ধকারী। খুনিদের কে বিদেশে পাঠিয়েছে? কে বিদেশে দূতাবাসে জাতির পিতার খুনিদের চাকরি দিয়েছিল? বর্তমানে ছয় জন খুনি বিদেশে আছে, তাদের সসম্মানে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যেন বিচার না হয় সেজন্য কুখ্যাত ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন তিনি। এই ভূমিকা বিশ্বাসঘাতক জগৎশেঠ ও ইয়ার লতিফকেও হার মানায়। ইতিহাসের এই সত্যকে কিভাবে অস্বীকার করব? (বিএনপি মহাসচিব) মির্জা ফখরুলকে একাধিকবার প্রশ্ন করেছি কিন্তু জবাব পাইনি। আপনার জবাব দেওয়ার সৎ সাহস নেই।’

হত্যা হত্যাকাণ্ড ডেকে আনে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যদি বিচার হতো তাহলে ১৯৮১ সালে খুনিচক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যার দুঃসাহস দেখাত না। যে বুলেট শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সে একই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, তারা কীভাবে বলতে পারেন হামলায় জড়িত ছিলেন না? তাহলে কেন হত্যার আলামত নষ্ট করা হলো? কেন এফবিআইকে তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়নি?

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংগঠনের সাবেক সভাপতি বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নেতাদের ধারে ধারে ঘুরবেন না। ছাত্রলীগকে মন্ত্রী-এমপিদের স্বার্থরক্ষার পাহারাদার করবেন না। এটা দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। সবাইকে মানতে হবে, যার যোগ্যতা আছে তাকে মূল্যায়ন করা হবে। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

Bootstrap Image Preview